“বৈষম্যে বিরোধী ছাত্রদের অভিযোগে বদলি ভৈরব থানার ওসি হাসত উল্লাহ”
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যে বিরোধী ছাত্রদের অভিযোগের তোপের মুখে ভৈরবে ওসি হাসমত উল্লাহকে বদলি করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক অফিস আদেশ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরীর স্বাক্ষরিত নোটিশে এই বিষয়টি জানানো হয়।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ বদলিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগের কারণ উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট করছে বৈষম্যে বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি আসামিদের সাথে লিয়াজু, বাদী বিবাদীদের সাথে রফাদফা ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে ওসি হাসমত উল্লাহ।
এ দিকে ভৈরব উপজেলার মৌটুপি গ্রামে দুই বংশের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বে চলতি বছরে তিনজন নিহত হন। নিহতের ঘটনায় উভয় পক্ষ ভৈরব থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় একপক্ষের আসামি সমন্বায়ক সাব্বির এর বাবা আবুল কালাম। গত সপ্তাহ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন ওসি৷ এতে ক্ষিপ্ত হোন সমন্বয়করা। তাতেই বাধে বিপত্তি৷ এদিকে রয়েছে ওসির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এ ঘটনার পর থেকে প্রশাসন ও সমন্বয়কদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করে। সমন্বয়কদের ওসি অপসারণের আল্টিমেটামে তোপের মুখে ওসিকে বদলি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে সমন্বায়ক শরিফুল হক জয় বলেন, আমরা বৈষম্য দূর করতেই আন্দোলন চলমান রেখেছি। ভৈরবে ওসি হাসমত উল্লাহ যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছে। আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে ১৩ টি অভিযোগ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমরা বিষয়গুলো অবগত করার পর তিনি বদলি হয়েছেন।
সমন্বায়ক জয় আরো বলেন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের টাকা খেতে তিনি৷ আসামিদের সাথে সমন্বয় করে সহজে যেন জামিন পায় সেই মামলা দিতেন। তিন বছর যাবত গ্রামের বাড়িতে যায় না আবুল কালাম। উনি একজন বয়স্ক মানুষ। তাকে মিথ্যা মালায় আসামি করে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা বাণিজ্য করতেন। আমাদের কাছে একাধিক প্রমাণ রয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ হাসমত উল্লাহ বলেন, ছাত্ররা যে অভিযোগ গুলো করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এক সমন্বয়কের বাবাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করার পর ছেড়ে দিতে বলে। আমি দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ছাড়তে পারি না। আমি অপরাধী হলে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। আমি জানি আমার কোন রকম অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা নেই।
ওসির বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরি বলেন, প্রশাসনিক কারণে ভৈরব থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে। নিয়মিত জেলার প্রতিটি থানা মনিটরিং করা হয়। ওসিকে জনস্বার্থে বদলি করা হয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো কারণ নেই। প্রশাসনিক কারণে তাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লাইনওআর, কিশোরগঞ্জ এ সংযুক্ত রাখা হয়েছে। ভৈরব থানার ওসি অবর্তমানে তদন্ত অফিসার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
Leave a Reply