নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ছেলে আবিদুল মোহাইমিন সাজিলের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল চিত্র নায়িকা শিরীন শিলা। তারা বসুন্ধরায় অবস্থিত নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজন পড়াশোনা করতো। সাজিল ফার্মেসী বিভাগের পড়াশোনা সময় পরিচয়ের পর ভালো লাগা, তারপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন তারা দুজন। দীর্ঘ ছয় বছরের পথ চলায় ঝগড়া বিবাদ আর অভিমানে সম্পর্ক যেন আরও গভীর হয়ে উঠে। মাঝে মাঝে মান অভিমানে যোগাযোগের বিরতি থাকলেও দ্জুন অনুভব করেন যে একজন আরেকজন ছাড়া অচল। তাই এমন করে পথ চলার একপর্যায়ে এসে তারা সিদ্ধান্ত নেন পারিবারিকভাবে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। চলতি সপ্তাহে রাজধানীর আফতাবনগরে শিরীন শিলার বাসায় যায় সাজিলের পরিবার। শিলার হাতে আংটি পড়ায় সাজিলের অভিবাবকরা, আর তখনি সিদ্ধান্ত হয় ১০ই অক্টোবর তাদের আকদ সম্পন্ন হবে।
সেই অনুযায়ী ১০ই অক্টোবর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় অবস্থিত একটি অভিজাত রেস্তুরায় আবিদুল মোহাইমিন সাজিল ও শিরীন শিলার আকদ সম্পন্ন হয়। আকদ অনুষ্ঠানে সাজিল ও শিলার পরিবারের সদস্যরাসহ বেশ কয়েকজন নায়ক নায়িকা উপস্থিত ছিলেন।
নারায়নগঞ্জ জেলার প্রয়াত আব্দুস সোবহান প্রধান ও মিসেস রেজিনা খাতুনের তিন মেয়ের মধ্যে সবার ছোট শিলা। তার দুই বোন হচ্ছে রেহানা ও শাহনাজ। শিলার আদরের ছোট ভাই সোহেল রানা।
অন্যদিকে সাজিলের বাবা মোঃ খলিলুর রহমান মা কল্পনা রহমান। সাজিল পেশায় একজন ফার্মাসিষ্ট ও প্রতিষ্টিত ট্রাবল ব্যবসায়ী।
এদিকে ভৈরবের মধ্যেচরের মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে সাজিল সম্প্রতি বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শিরীন শিলাকে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবের বিনোদনপ্রেমীদের মধ্যে এক প্রকার উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। সিনেমা প্রেমীরা কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করছেন কবে নববধূ শিরীন শিলা ভৈরবে পা রাখবেন।
ভৈরবের স্থানীয় একজন সিনেমা প্রেমী রাসেল বলেন, “শিরীন শিলার মতো একজন বড় মাপের অভিনেত্রী আমাদের এলাকার বউ হয়ে আসছেন, এটা সত্যিই গর্বের। তার আগমন আমাদের এলাকাকে আরও বেশি পরিচিত করবে।”
আরেকজন বিনোদনপ্রেমী রফিকুল ইসলাম জানান, “শিরীন শিলাকে নিয়ে আমরা খুবই উত্তেজিত। তার অভিনয় জীবনের সাফল্য এবং তার ব্যক্তিত্বের জন্য আমরা সবাই তাকে সম্মান করি। আশা করি তিনি ভৈরবের সংস্কৃতি ও বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবেন।”
ভৈরবের বিশিষ্ট সমাজসেবক জহিরুল ইসলাম বলেন, “শিরীন শিলার ভৈরবে আসা শুধু বিনোদন নয়, বরং আমাদের এলাকার জন্য এটি একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করব। তার সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং চলচ্চিত্র জগতে অবদানের কথা ভৈরববাসী দীর্ঘদিন মনে রাখবে।”
শিরীন শিলা কবে ভৈরবে আসবেন তা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। অনেকেই তাকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভৈরবের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকজন আশা করছেন, তার উপস্থিতি নতুন প্রজন্মকে বিনোদন জগতে অনুপ্রাণিত করবে।
সাজিল ও শিরীন শিলার এই বিয়ে শুধু দুটি পরিবারের মিলন নয়, এটি ভৈরবের বিনোদনপ্রেমী এবং সাধারণ মানুষের মনে একটি স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply