যোগ্যতা ও ন্যায্যতার আলোকে ১০ম গ্রেডের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ভৈরবের প্রাথমিক শিক্ষকদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যোগ্যতা ও ন্যায্যতার আলোকে ১০গ্রেডের দাবীতে মানববন্ধন করেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
শুক্রবার সকাল ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের উপজেলা পরিষদের সামনে দুই শতাধিক শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রেদোয়ান আহমেদ রাফির কাছে একটি লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয় ড. ইউনূসের কাছে তারা তাদের যৌক্তিক দাবি গুলো তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে অংশ নেন ভৈরবের শিক্ষক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক শাহীন আহামেদ ভুঁইয়া, সহ সমন্বয়ক মো: সবুজ খান, সাদিয়া সুলতানা, হোসেন আলী, রাশেদুল হক, তারেক মিয়া, মাসুম মিয়া, সুমন খান, কিরণ মিয়া, তোফায়েল আহমেদ, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, আমিনুল ইসলাম, লাকি আক্তার, কেয়া আক্তার, আব্দুল খালেক, এসএম ফজলুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফারহানা বেগম লিপি, পাপিয়া পুস্প, সুমি আক্তার, তানিয়া আক্তার, জাকির হোসেনসহ দুই শতাধিক শিক্ষক।
বক্তারা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে ১০ম গ্রেড প্রদানের যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে। তারা বলেন, শিক্ষকদের জাতির মেরুদণ্ড বলা হলেও তারা আজ বৈষম্যের শিকার।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পদে স্নাতক ডিগ্রী নিয়ে চাকুরী করলেও তাদের বেতন গ্রেড ১৩তম। অন্যদিকে অষ্টম শ্রেণি পাস করা লোকদেরও বেতন গ্রেড ১২তম। এটা কেমন বৈষম্য। তারা আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক সমমান হলেও ১০গ্রেডে পাওয়ার মুলকারণ হিসেবে আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতাকে দায়ী করেন।
এছাড়াও তারা এ পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন স্কেলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্য ভাতা ও ন্যায়সংগত দাবি বাস্তবায়নের করতে অর্ন্তভুক্তকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সদয় অনুগ্রহ কামনা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তাদের দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে শিক্ষকরা তাদের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন।
Leave a Reply