ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ।(১০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে তেলের ডিপো ঘাটের নদী ভাঙ্গন এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধন শেষে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে সংগঠনটি। এসময় ভৈরব সংগঠনের সভাপতি অনিক ভূইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদোয়ান আহমেদ রাফি, বিছাস প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সহ-সভাপতি জাহিদুল হক জাবেদ, বিছাস সাবেক সভাপতি আরিফুল হক সুজন, শহিদুল হক ইমন, অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিছাস ভৈরব এর সভাপতি অনিক ভূইয়া বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভৈরব শহর রক্ষা বাঁধ প্রয়োজন। বিগত দিনে ভৈরবের নেতৃবৃন্দের অবহেলায় আমাদের নদী ভাঙ্গন দেখতে হচ্ছে। তাদের সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে কিছু দিন যেতে না যেতেই দেখা দেয় ভাঙ্গন। বিলিন হয়ে যায় অনেক বাড়িঘর। আজ বিছাস এর পক্ষ থেকে মেঘনা নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারের মাঝে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। এসময় এলাকাবাসীও যোগ দেয় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে ভৈরব রেলওয়ের ৫০ একর জায়গা ও শতাধিক বাড়িঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ২০০৪ সালে শহরের কাটপট্টি এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিলে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর পানিতে তলীয়ে যায়, ২০২২ সালের ভাঙনের দুটি রাইস মিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওই সময় দুইজন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। গেল ৮ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে মেঘনা ব্রীজ সংলগ্ন ডিপো ঘাট এলাকায় নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেয়।
এখানে দুটি তেলের ডিপো, বিএডিসির দুটি সারের গোদাম রয়েছে। সাথে রয়েছে দুটি রেল ও একটি সড়ক সেতু। নদী ভাঙ্গনে ১শ মিটার ভূমিসহ প্রায় ২০টি কাঁচা ঘর ও যমুনা অয়েল কোম্পানির একাংশসহ বেশ কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সর্বহারা হয়ে অসহায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। বিগত দিনে শহর রক্ষা বাঁধের নামে অর্থ লুটপাট করেছে ক্ষমতাসীনরা। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভৈরব থেকে ছায়তনতলা পর্যন্ত শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করা হোক। তাহলে ভৈরবের মানুষ বেঁচে যাবে।
মানববন্ধনে সার্বিক সঞ্চলনায় ছিলেন বিছাস এর সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সিয়াম।
Leave a Reply