ভৈরবে থানা লুট হওয়ার ঘটনায় ১৬ দিন পর মামলা, অজ্ঞাত আসামি ১৫ হাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে থানা লুট হওয়ার ঘটনায় ১০/১৫ হাজার অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনার ১৬ দিন পর ২১ আগস্ট রাতে ভৈরব থানার এসআই কামাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। (২২ আগস্ট)বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ওইদিন বিকালে ভৈরব থানা লুটপাট, ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভৈরব থানা পুলিশ সদস্যরা কোন রকম প্রাণে বেঁচে পালিয়ে যায়। এর আগে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় থানায় থাকা অধিকাংশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে থানায় থাকা বিভিন্ন অস্ত্র, জব্দকৃত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা থানায় থাকা বিভিন্ন গাড়ি ও থানা কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বাসস্থান লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পরদিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা মাইকিং করে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাধী সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্থান্তর করেন।
গত ৯ আগস্ট সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় ভৈরব পৌর স্টেডিয়ামে থানার অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আল্টিমেটাম দিলে গত ১৫ আগস্টের মধ্যে সকল পুলিশ থানার অস্থায়ী কার্যালয়ে যোগদান করেন।
১৭ আগস্ট অস্ত্রগুলিসহ সকল সরঞ্জাম পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেয় ভৈরব সেনাবাহিনী। ২১ আগস্ট বুধবার ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সহযোগীতা বাবত থানার ওসির হাতে ৩০টি চেয়ার ও ১০টি টেবিল উপহার দিলে থানার ভিতরে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত ৫ আগস্ট ঘটনার পর থানায় কিছুই ছিলনা। ওয়ারলেস, কম্পিউটার, কাগজপত্র, অস্ত্র, চেয়ার-টেবিল, গাড়িসহ সবকিছু দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দেয় এবং সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার ভৈরব চেম্বারের পক্ষ থেকে কিছু চেয়ার টেবিল দিয়ে সহযোগীতা করার পর থানায় বসার পরিবেশ হয়েছে। থানায় আগুন ও লুটের ঘটনায় অজ্ঞাত ১০/১৫ হাজার লোককে আসামি করে বুধবার রাতে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে মামলার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে। থানার কিছু অস্ত্র ও গুলাবরুদ এখনও উদ্ধার হয়নি। উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply