ভৈরবে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার মীর বাড়ি ও কাজি বাড়ির মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ, র্যাব ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন, সোলেমান মিয়া (২৭), রাব্বী মিয়া (১৭), সাকিব মিয়া (২৬), ইমন মিয়া (২৪), মোছা মিয়া (৩০), রাতুল (২২), শ্রাবন (১৯), সোলমান (৪৮), অলি উল্লাহ (১৬), ইয়াছিন (১৯), সামি (১৪), সোহাগ (২০), আল আমিন (১৮), ইয়াছিন (১৫), সাজ্জাদ (২০), সিয়াম (১২), রায়হান (১৮), বাদশা (১৮), প্রিয়াঙ্কা (২০), জন মিয়া (১৯)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সোলমানকে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অলি উল্লাহকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলেন জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ডাক্তার করিম। এ ছাড়াও ইমন (২২), রিয়াদ (২২), মুর্শিদ (৫০), আশিক (২৪) ও আফজাল মীর (২২)সহ অন্যান্য আহতরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ দিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক মিজান পাটোয়ারি (৪৫) আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
স্থানীয়রা জানায়, মীর বাড়ি ও কাজি বাড়ির মধ্যে মীর বাড়ির একটি মসজিদ রয়েছে। মীর বাড়ির সভাপতি ছিল মোল্লা বাড়ির মিজান মোল্লা। সোমবার (৭ এপ্রিল) পাঁচ বছর পর কমিটি গঠন করতে বসেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় কমিটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হট্রগোল হয়। পরে রাতেই উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিষয়টি মিমাংসা করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সময় নেয়। দিনভর এলাকায় থম থমে অবস্থায় বিরাজ করে। পরে রাতে হঠাৎ মীর বাড়ি ও কাজি বাড়ি ইট পাটকেল, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়। সেই সাথে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, খবর পেয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রোহানীসহ ভৈরব থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যে কোন অপ্রিতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
Leave a Reply