ভৈরবে ডিলারের বিরুদ্ধে ওএমএস এর চাল বাহিরে বিক্রির অভিযোগ
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌর সভার ২নং, ৭নং ও ৮নং ওয়ার্ডের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) ডিলার মস্তু মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত ডিলার দীর্ঘদিন ধরে মজুদকৃত চাউল অবৈধভাবে বস্তায় বস্তায় চাল বাইরে পাচার করছে এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর। পরে (১৩ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার সকালে চাউলের ২টি বস্তা রিক্সা দিয়ে পাচার করার সময় ওই দৃশ্য ধরা পড়ে স্থানীয়দের কাছে।
সরকারের নেয়া জনবান্ধন এই কার্যক্রমের আলোকে জেলা ও উপজেলা, পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি ৩০ টাকা করে চাল বিক্রয় কার্যক্রম চালু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর এলাকার ২নং, ৭নং ও ৮নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার মস্তু তার নামের তিন ওয়ার্ডের ১৩ টন বরাদ্দ পাওয়া চাউলের একটি অংশ সরবরাহ করছে না সেবা গ্রহীতাদের। তিনি নিয়ম-নীতির কোন তোয়াক্কা না করে অবৈধ পন্থায় বস্তায় বস্তায় চাউল বাহিরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দিচ্ছে। যার কারণে ওএমএস এর চাল কিনতে আসা অনেকেই ৫ কেজি করে চাল না পেয়েই খালি হাতে ফেরত যেতে হয়।
অত্র এলাকার নাম প্রকাশে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাউল বিক্রি করার কথা থাকলেও গোপনে ডিলাররা রিক্সা বা ভ্যান গাড়িতে করে ৪-৫ বস্তা করে চাল বেশী দামে অন্য ওয়ার্ডের দোকানিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এছাড়া তারা বলেন ওএমএস এর ন্যায্য মূল্যে চাউল বিতরণ এর কর্মসূচি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং না থাকায় এ চাউল পাচার ও কালোবাজারে বিক্রয় নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তাই বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন তা না হলে যারা চাল নেওয়ার যোগ্য তারা চাল পাবে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিলার (স্বত্বাধিকারী) মস্তু অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে দুই বস্তা চাল এক মহিলার কাছে বিক্রি করার জন্য সকালে রিক্সায় উঠালে স্থানীয়রা তা দেখে ফেলেন। পরবর্তীতে ঐ চাল আর বিক্রি করা হয়নি। এছাড়া এ কাজ আর না করারও প্রতিস্রুতি দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, ওএমএস এর চাল বাহিরে শুধু আমিই বিক্রি করি না, আরো যারা ডিলার আছে সবাই বাহিরে বিক্রি করেন অতিরিক্ত লাভের আশায়ে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোছা: রুমানা আফরোজের অফিসে গিয়ে না পেয়ে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করিলেও তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ঐ ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত হলে ডিলারশিপ বাতিল হতে পারে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply