আন্তঃজেলার পাঁচ নৌ-ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব নৌ-পুলিশ
ভৈরব প্রতিনিধি
মেঘনা নদীতে নৌ-ডাকাতির অভিযোগে আন্তঃজেলার নৌ-ডাকাত সর্দারসহ পাঁচ জন নৌ-ডাকাত কে গ্রেফতার করেছে ভৈরব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। (৫ ফেব্রুয়ারী) বুধবার ভোরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। বুধবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব নৌ-থানার ওসি মো.
রাশেদুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃত নৌ- ডাকাতরা হলেন,নরসিংদির জেলার রায়পুরা থানার মাঝের চর এলাকার আজগর আলীর ছেলে সাদ্দাম ও একই এলাকার মোঃ আবুল বাদশার ছেলে শিমল মিয়া (৩৪)। পরে এদের তথ্য মতে আরো গ্রেফতার করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থানার চরচারতলা এলাকার জিল্লু মিয়ার ছেলে মো.লোকমান( ওরফে পিচ্চি লোকমান),
নরসিংদী জেলার রায়পুরা এলাকার মাঝেরচর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া ও পঞ্চগড় জেলার ভান্ডারু এলাকার মন্নাফ মিয়ার ছেলে মো.জুলহাস ইসলাম ওরফে বিল্লাল মিয়া।
পুলিশ জানায়, জার্মান প্রবাসী মো. কাজল মিয়া গেল ১২ ডিসেম্বর তার শ্বশুর বাড়ি লালপুর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেঘনা নদী দিয়ে ভৈরবের উদ্দেশ্যে আসার পথে আশুগঞ্জের লালপুর ইউনিয়নে চর কাঠবাগানের মেঘনা নদীতে পৌঁছা মাত্র পিছন থেকে আসা একটি ইঞ্জিন চালিত কোষা নৌকায় অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র হাতে নিয়ে মাঝিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, ৩ টি স্মার্ট ফোন ও নগন টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযানে নামলে প্রথমে নৌ-ডাকাত সাদ্দাম ও শিমুল কে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞেসা করলে তারা মেঘনা নদীতে নৌ-ডাকাতিসহ ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য ভিত্তিতে পরবর্তী বুধবার ভোরে আরো ৩ ডাকাতকে আটক করা হয়। তারা ডাকাতির সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ভৈরবে মেঘনা নদীতে নৌ-ডাকাতির প্রবণতা বেশি। আমি ভৈরবে যোগদান করেছি আড়াই মাস হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে মেঘনা নদীতে থেকে নৌ-ডাকাতের প্রবণতা কমাতে অভিযান পরিচলানা করা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ নৌ-ডাকাত কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া তাদেরকে আইনি প্রক্রিয়ায় শেষে ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নদীতে নৌ-ডাকাতির প্রবণতা কমাতে নৌ- পুলিশের টহল নদীতে আরো জোড়দার করা হয়েছে।
Leave a Reply