ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২০ জন আহত; ৫/৬টি দোকানপাট ভাঙচুর
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বংশের লোকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫/৬টি দোকানপাট ভাঙচুরসহ ২০ জন আহত হয়েছে। (৩১ জানুয়ারি) শুক্রবার রাত ১০টায় পৌর শহরের চন্ডিবের মোল্লা বাড়ি ও পাগলা বাড়ি মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আহতদের মধ্যে আপেল মোল্লা (২৫), আরিয়ান(১৮), সানি (১৯) হাবিবুর রহমান (২০), নাসিমা(৩৩), আরাফাত(২০), শাওন (১৮), সায়েম(১৭), দিদার(২৫), সিফাত মোল্লা(২২), শরিফ আহমেদ(৩০), শাহদাত (১৬), সুজন(৩২), মেরাজ(২২), হাসান(২০) রাতুলসহ(১৭) ২০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে রের্ফাড করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার মোল্লা বাড়ি ও পাগলা বাড়ির ছেলেদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এই নিয়ে ১০টায় উভয়পক্ষ ইট পাটকেল, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় ২০ জন আহত হয়। এছাড়া ৫/৬টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
এবিষয়ে মোশাররফ মোল্লা বলেন, আমি ফেরিঘাট ছিলাম, খবর পেয়ে বাড়িতে আসলে জানতে পারলাম আমার এক ভাতিজাকে পাগলা বাড়ির মিলন মিয়ার ছেলে মারধোর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো। পরে আমার এক ভাই মোস্তফা মোল্লা বাধা দিলে মিলন মিয়ার ছেলেরাসহ পাগলা বাড়ির লোকজনেরা তাকে গালমন্দ করলে এই ঝগড়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আমাদের বাড়ির অনেকে আহত হয়েছে আবার দোকানপাট ভাংচুর ও লোটপাট করেছে তারা।
পাগলা বাড়ির মিলন মিয়া জানায়, আমি ও মোশাররফ মোল্লা একসাথে ফেরিঘাট থেকে ঘটনাস্থলে আসি। পরে মোশাররফ মোল্লার ভাই আমাকে দেখে গালমন্দ শুরু করেছে। আমি তাদের ভাইদের কাছে এর বিচার চাই। তারাও বলেছে বিচার করবে। কিন্তু এর আধাঘন্টা পরে তাদের বাড়ির লোকজন জহির হাজি মসজিদ এলাকা দিয়ে আমাদেরকে আক্রমণ করেন। আমাদের পোলাপান আহত হয়েছে। তবে কি কারণে এই ঝগড়ার সৃষ্টি তিনি তা জানেন না।
মোস্তফা মোল্লা জানায়, পাগলা বাড়ির কপ্পা মিলন ওরফে মিলন মিয়ার ছেলেরা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকে। গেল ছয় মাস আগে চন্ডিবের ঈদগাহ মাঠের পিছনে মিলন মিয়ার ছেলে তাদের বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমন অভিযোগ করে আবার থানায় মামলা করা আছে। পরে আবার তারা ঐ মোবাইল ও টাকাগুলো ফেরত দিয়ে যায়। আমরা এর একটি সুষ্ঠ বিচার চাই।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ,দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মধ্যস্থানে থাকা নিরপরাধ মানুষদের বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। অপরাধীদের কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী জানান, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply