ভৈরবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ছাত্র জনতার হুঁশিয়ারি
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামধারী কমিটিকে সরাসরি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ছাত্র জনতা। শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টায় পৌর শহিদ মিনার চত্বরে ‘ছাত্র জনতা’র ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।
জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে আহতদের স্মরণে ও দোষীদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক রেজুয়ান উল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা জাহিদুল ইসলাম, মো. অনন্ত, আলিফ সরকার রিসান, নূরে আলম নিলয়, আব্দুস সামাদ, আরাফাত ভূঁইয়া, সানী তালুকদার, রেদুয়ান আহমেদ রিদম, রিজওয়ান উল্লাহ, রিদওয়ান আহমেদ শোভনসহ আরও অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভৈরবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১৬ জুলাই। সেদিনই ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন আন্দোলনকারীরা। এরপর ১৯ জুলাই, ৪ ও ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিবর্ষণ উপেক্ষা করেও রাজপথে নামে সাধারণ ছাত্র জনতা।
বক্তারা বলেন, এখন যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাতে আন্দোলনের সঙ্গে থাকা কোনো নেতাকর্মী নেই। এই কমিটি একটি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করছে। তারা স্পষ্ট করে ঘোষণা দেন, ‘ছাত্র জনতা’র পক্ষ থেকে এই কমিটি ভৈরবে অবাঞ্ছিত।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলন নিয়ে যারা সুবিধাবাদী রাজনীতি করতে চায়, তারা যেন আওয়ামী লীগের মতো স্বৈরাচারী আচরণ না করে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধেও জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের বিচার এখনো না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
এ সময় ভৈরবে ক্রমবর্ধমান আইনশৃঙ্খলা অবনতির চিত্র তুলে ধরে বক্তারা বলেন, আজকের পর থেকে শহরে প্রকাশ্যে ছিনতাই হলে বেঙ্গল, হাইওয়ে ও রেলওয়ে থানার ওসিদের ‘শাড়ি-চুড়ি’ উপহার দেওয়া হবে।
বক্তারা ঘোষণা দেন, ‘আমরা আন্দোলনের মাঠে ছিলাম, থাকবও। যে স্বৈরাচারী শক্তিই আমাদের সামনে আসুক, তাকে প্রতিরোধ করা হবে।
Leave a Reply