ভৈরবে মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান: ৫৫০০ মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ
ভৈরব প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ মিটার অবৈধ ‘চায়না দুয়ারি’ রিং জাল জব্দ করেছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।(২৬ জুন) বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একযোগে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয় ভৌমিক। এবং সার্বিক সহযোগীতা করেন ভৈরব নৌ-পুলিশ পুলিশ ইউনিটের সদস্যরা ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন নদী এলাকায় কিছু অসাধু জেলে ও মাছ শিকারিরা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি রিং জাল ব্যবহার করে মাছ ধরছিল। এতে নদীতে স্বাভাবিকভাবে মাছের প্রজনন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ভৈরব উপজেলা মৎস্য দপ্তর একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে মেঘনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদে একযোগে অভিযান চালিয়ে ৫৫০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে নদীতে থাকা বেশ কয়েকটি নৌকা ও জেলে পালিয়ে গেলেও পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ চায়না দুয়ারি জাল পাওয়া যায়। পরে উদ্ধারকৃত জাল নদীর তীরে এনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এই বিষয়ে ভৈরব উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয় ভৌমিক বলেন, চায়না দুয়ারি জাল একটি নিষিদ্ধ জাল, যা দিয়ে মাছের ডিম, পোনা এবং ছোট মাছ ধরা পড়ে। এতে প্রাকৃতিকভাবে মাছের বংশবিস্তার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। আমরা নিয়মিত নজরদারি করছি এবং এ ধরনের অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আজকের অভিযানে ৫৫০০ মিটার চায়না দুয়ারি রিংজাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনসচেতনতা বাড়াতে এবং মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মৎস্য বিভাগ সজাগভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মৎস্য আইন মেনে নদী থেকে মাছ আহ্বান করলে দীর্ঘ মেয়াদে সবারই লাভ।
উল্লেখ্য, চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, যার বিরুদ্ধে সরকার ইতিমধ্যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
Leave a Reply