ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মৌটুপী গ্রামের দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। (১৩ মে) মঙ্গলবার বিকালে ৩টায় উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহতরা হলেন, সরকার বাড়ির পক্ষে মোবারক (৪০), আঙ্গুর মিয়া (৪৫), হুমায়ুন ( ৩৬), সাকিল ( ২৫), মামুন (৪০), সোহান (২০), রাজু মিয়া (২৫), বুলবুল (৩০) তানভির (২০), তৌহিদ (২০), রত্না বেগম (৪০), আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের সরকার বাড়ি ও কর্তাবাড়ি দুই বংশের মধ্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৫৬ বছর যাবত দ্বন্দ্ধ চলছে। সরকার বাড়ির নেতৃত্ব দেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সরকার শেফায়াত উল্লাহ এবং কর্তা বাড়ির নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা তোফাজ্জল হক। দুই বংশের দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৪ জন খুন হয়েছে। হয়েছে কয়েকশ মামলা। এসব মামলায় জেল হাজতও কেটেছেন দুই বংশের লোকজন। সর্বশেষ সরকারবাড়ির কাইয়ুম হত্যা পর কর্তাবাড়ির লোকজন গ্রামছাড়া হয়ে যায়। কয়েক মাস গ্রাম ছাড়া থাকার পর কাইয়ুম হত্যা মামলায় জামিন নিয়ে গত ঈদুল ফিতরের পর নিজ বাড়িতে ফিরে গিয়ে ফের দুই বংশের মধ্য সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পুর্নরায় বাড়ি ছাড়া হয় কর্তাবাড়ির লোকজন। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে কর্তাবাড়ির লোকজন প্রশাসনের সহযোগিতায় নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর ফের দুই বংশের মধ্য সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ডা.রেজিনা পারভিন বলেন, মৌটুপী গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ২০ জনের মত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া বাকী আহত রোগীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্য গুরুতর আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থা করছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply