ভৈরবে স্বামীর পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবসায়ী শাকিল গ্রেফতার
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্বামীর পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে গৃহবধূ আইরিন হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামী করা মামলায় পুলিশ শাকিল(৪৩) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে ভৈরব বাজারের মিষ্টি পট্টি এলাকার নিজ দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব শহর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হুদা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ আইরিন ভৈরব বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল ও তার ভাই আদিলের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত শাকিল ও অপর আসামী আদিল তারা দুই ভাই ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার আবদুল কাশেম মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তিন বছর আগে শাকিল বন্ধুত্বের খাতিরে আইরিনের স্বামী নূর আলমের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা ধার নেন। বেশ কয়েকবার তাগাদা দিলেও টাকা ফেরত দেননি। অবশেষে গত বুধবার বিকেলে আইরিন তার স্বামীর অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য টাকার দাবি জানাতে শাকিলের দোকানে যান এবং দুই লাখ টাকা ফেরত চান।
তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে শাকিল ও আদিল আইরিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দোকানে রাখা টিনের ড্রাম থেকে সোয়াবিন তেল এনে আইরিনের শরীরে ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন তারা। তবে বাজারের উপস্থিত লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে আইরিনকে উদ্ধার করেন।
আইরিন অভিযোগ করেন, হত্যাচেষ্টার পাশাপাশি অভিযুক্তরা তার উপর শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আইরিনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়ার পরও প্রতিকার না পেয়ে তার বোন টাকা চাইতে গেলে হত্যাচেষ্টার শিকার হন।
আইরিনের স্বামী নূর আলম বলেন, আমার কাছ থেকে ব্যবসয়ীর সুবাদে তিন বছর আগে ১২ লক্ষ টাকা দার হিসেবে নিয়েছে শাকিল। এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করে দিবে বলেছিলো, কিন্তু সে পরিশোধ করছে না। গত বুধবার আমার স্ত্রী আইরিন, সে শাকিলের দোকানে আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা দুই ভাই টাকা না দিয়ে উল্টো আমার স্ত্রী আইরিনের উপর তেল ঢেলে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়ে। পরে স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে এই ঘটনায় থানায় মামলা করিলে শুক্রবার রাতে শাকিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভৈরব শহর ফাঁড়ির এসআই নুরুল হুদা বলেন, মামলার পর আইরিনের স্বামী আসামিকে সনাক্ত করেন। এরপর মিষ্টি পট্টি এলাকার দোকান থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
Leave a Reply