ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মিথ্যা মামলায় শিমুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রিপন ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মামলার প্রত্যাহারে দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টায় ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের বড় ভাই ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার ছোট ভাই ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি সবসময় মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেছেন। কখনো কারো কোন ক্ষতি করেন নি। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনগণের সেবা মূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি সুনামের সহিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছে।
গত ৫ আগস্টের পরে দেশে রাজনীতির প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর থেকে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম (আল আমিন) প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। বিগত সময়ের একটি সভার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার মানহানি করেন। তারপর বিভিন্ন লোকজনের তদবিরে চেয়ারম্যান তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করেন। তারপরও তিনি ষড়যন্ত্র থামেনি। আমার ভাইয়ের সম্মান ও জনপ্রিয়তা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের নামে ফেইক ফেইসবুক আইডি নাম ব্যবহার করে এডিট এর মাধ্যমে আমার ভাইয়ের ফেইসবুক প্রোফাইল এর ছবি এবং নাম দিয়ে হুবহু ফেইসবুক পোষ্ট এর মত দেখতে কিছু সংখ্যক ভুয়া পোষ্ট করিতেছে।
যাতে দেখা যায় আমার ছোট ভাই (মিজানুর রহমান রিপন) এর ফেইসবুক আইডি থেকে রাষ্ট্র বিরোধী এবং সরকার বিরোধী অশৃঙ্খল পোষ্ট করা হয়েছে। ঐ সকল পোষ্ট ভুয়া এবং বানোয়াট। যা আমার ভাই তার ভেরিফাইড ফেইসবুক একাউন্ট থেকে করেনি বরং এডিট অথবা ভুয়া ফেইসবুক আইডির নাম ব্যবহার ঐ সকল পোষ্টগুলো করা হয়েছে। ইউপি সদস্য আল আমিন আমার ভাই এর সম্মানহানি এবং তাকে হয়রানি করতেই এই সকল অপপ্রচার করছে যাতে আমার ভাই মিজানুর রহমান এর ব্যক্তিত্বে আঘাত আনতে পারে এবং তাকে সমাজের চোখে ছোট করতে পারে। মূলত সমাজের চোখে ও আইনের দৃষ্টিতে
তাকে অভিযুক্ত করে থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর মিথ্যা মামলা দিয়ে গত ২৬ মার্চ রাতে তাকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
যে মামলায় তাকে আসামী করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ঘটনার সাথে তিনি কোন ভাবে সম্পৃক্ত নয়। এমতাবস্থায় আমি সহ আমার পরিবারের সবাই দুশচিন্তা ও আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ শিমুলকান্দি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার খোরশেদ আলম (আল আমিন) এর ষড়যন্ত্রের শিকার ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী সুর্বনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সুনামের সহিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দেশে রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর থেকে ইউপি মেম্বার আল আমিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেতে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। আমার স্বামীর নাম ব্যবহান করে ভুয়া আইডিতে রাষ্ট্র বিরোধী পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এসব পোষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠিয়ে তাকে অভিযুক্ত করে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেন। আমার সন্তানরা তাদের বাবাকে ছাড়া ঈদ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী ইউপি চেয়ারম্যানের বড় ভাই জিল্লুর রহমান, তার স্ত্রী সুবর্ণা আক্তার, বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিউলি আক্তার ও তার তিন সন্তান।
Leave a Reply