ভৈরবে ঈদের শেষ মুহূর্তের বেচা-কেনায় ব্যস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতারা
নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মার্কেটগুলিতে শেষ মুহুর্তের কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। নিজ নিজ পছন্দের পণ্য কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন বিপণি বিতান গুলোতে। তবে পণ্যসামগ্রীর দাম গত বছরগুলোর তুলনায় বেশি বলে হতাশ হতে হচ্ছে ক্রেতারা। এদিকে বিক্রেতাদের দাবি জিনিসের কোয়ালিটি ভালো ও বাড়তি দামে পণ্য কিনে আনায় এবার জিনিসের দাম একটু বেশি।
ভৈরব শহরের নিউ মার্কেট, ছবিঘর শপিং কমপ্লেক্স, হাজী আসমত শপিং মার্কেট , সালাম প্লাজা, ভৈরব নদী বাংলা সেন্টার পয়েন্ট, হার্কাস মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণী বিতানগুলোতে ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনা কাটায় ভীড় করছেন ক্রেতারা। এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দ তালিকায় পাকিস্তানী ফারসি, হেনা, ছুপা, ভারতীয় আলিয়া কাট, নামক থ্রি-পিস। এছাড়া চাহিদা রয়েছে কাতান, বারিশ, কারচুপি, বালাহার, মটকা ও কাশ্মীরি কাতান থ্রি-পিসের। শাড়ির মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে সূতি, জামদানি, খাড্ডি বেনারসি, চেন্নাই সিল্ক, বুটিক, মান্দানি। ছেলেদের পাঞ্জাবি, টুপি, প্যান্ট এবং ছোটদের টি-শার্ট, থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া পোশাকের সঙ্গে মানানসই প্রসাধন সামগ্রীর চাহিদাও রয়েছে।
মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, এই বছর বাজারে ভালো ভালো কাপড়ের কালেকশন এসেছে। কাপড়ের কোয়ালিটিও ভালো স্বাদ্ধের মধ্যেই কাপড় কিনতে পারছি। তবে গত বছরের চেয়ে কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি বলে জানান তারা।
ভৈরব শহর এলাকার মো: জিয়া উদ্দিন বলেন, সবসময় ঈদের বাজারে দাম কিছু বেশী হয়। তবু পরিবারের জন্য শপিং করতে হবে।
আগানগর ইউনিয়ন থেকে আসা এক নারী ক্রেতা বলেন, দাম যথই হোক ঈদের জন্য জামা-কাপড়ের কিনতে হবে।
কসমেটিকস সামগ্রী কিনতে আসা এক মহিলা বলেন, প্রতিবারই আমি, আমার মেয়ের জন্য ঈদের অনন্য বাজারের সাথে কসমেটিকস কিনে থাকি। তাই আজও তার ব্যতিক্রম না। দামের ব্যপারে তিনি জানান, দাম একটু বেশীই।
এদিকে দোকানদাররা জানান,
গতবারের চেয়ে এইবার ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে সব দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত কাপড়ের কালেকশন রয়েছে। এই বছর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানি ফারসি। এছাড়া আরো বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন জামা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ক্রেতারা বিভিন্ন রকমের ডিজাইনের জামা কিনছেন। তবে প্রতি পিছ ফারসি মডেলের জামা ৪ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা দামের মধ্যে ক্রেতারা কিনতে পারছেন। তবে বাজারে গতবারের চেয়ে কাপড়ের দাম একটু বেশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বৈশাখী শাড়ি ঘরের পরিচালক আদিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। শুধু আমার না, মার্কেটের সবারই ভালো বেচা-কেনা হচ্ছে।
স্বর্ণালী সুজের দোকানের পরিচালক মো: জাকির হোসেন বলেন, আমাদের রোজার আগে থেকেই বেচা-কেনা হয়ে আসছে। বর্তমানে দামে সাশ্রয় থাকায় সবাই নিতে পারছে।
ভৈরবের ঈদ বাজার জমজমাট হচ্ছে। সকল মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। রাত ১২টা পর্যন্ত বেচা-কেনা চলছে। এছাড়া আমাদের চেম্বার অব কর্মাসের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীসহ প্রশাসনকে সহযোগী করা হচ্ছে যেন সবাই সুন্দর ভাবে নির্বিঘ্নে ঈদটা করতে পারে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা যেন বিক্রি শেষে রাতে নিরাপদ ভাবে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্য আরো পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ করার দাবি জানান ব্যবসায়ী সংগঠনের এই নেতা-জাহিদুল হক জাবেদ, সহ-সভাপতি, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, ভৈরব।
Leave a Reply