দৈনিক সমকাল-এর মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের নিন্দা ও প্রতিবাদ
ভৈরব প্রতিনিধি
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী/২-ঢাকা, আহসান হাবিব বিরুদ্ধে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ( ১৮ মার্চ) মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারঘাটে প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে ভৈরব বাজার জংশন এর প্লাটফর্মে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিপুলসংখ্যক প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন এবং প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ,ভৈরব বাজার ঘাটের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী কার্য টাইম কিপার মো: মামুনুর রশিদ, ভৈরব ইএন অফিসের অফিস সহকারী এস এম আব্দুল্লাহ , ইএন অফিসের টলি ম্যান মো: জালাল উদ্দিন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আহসান হাবিব পেশাদারিত্ব, সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, যা তার সম্মান ও সুনামের ওপর আঘাত হেনেছে।
সভায় বক্তারা দৈনিক সমকাল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রত্যাহার ও সঠিক তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানান। তারা বলেন, যদি পত্রিকাটি তাদের ভুল স্বীকার করে যথাযথ সংশোধনী প্রকাশ না করে, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীরা দৃঢ় কণ্ঠে আরও বলেন, সত্য কখনো চাপা থাকে না। প্রকৌশল বিভাগের সুনাম রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালিয়ে প্রকৌশল বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারবে না।
এই প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একতাবদ্ধভাবে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের মিথ্যা ও অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হয়, তবে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সভায় উপস্থিত সকলেই দৈনিক সমকাল-এর ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৌশল বিভাগের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানান।
উল্লেখ, গেল ১৬ মার্চ দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকৌশলী আহসান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করেন।
সেখানে জানাযায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দাপ্তরিক প্রাক্কলন অনুমোদন না নিয়েই প্রচুর কাজের দরপত্র আহ্বান এবং এসব কাজের বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। কাজ না করিয়েই কিছু ঠিকাদারকে বিল তুলে দিয়েছেন। এ ছাড়া মাটি ভরাটে অনিয়ম এবং রেলওয়ের গাছ কেটে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
Leave a Reply