ভৈরবে বকেয়া পরিশোধ ও মিল চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব জব্বার জুট মিলের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন বোনাস পরিশোধ সহ মিল চালু করার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা।(৮ ফেব্রুয়ারি)শনিবার বেলা ১২ টায় প্রায় ৫ শতাধিক নারী পুরুষ শ্রমিকেরা জুট মিলের ভিতরে এ কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বিক্ষোভকৃত শ্রমিকরা জানায়, আমরা দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর যাবত অত্যন্ত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দ্বারা আন্তরিকতার সাথে এই মিলে কাজ করে আসছি। শ্রমিকদের অবগত না করেই গেল ২২ জুন ২০২৩ সালে হঠাৎ মিল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে আমাদের লোকজন বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরীতে কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গেল ৬ অক্টোবর ২০২৪ সালে আমাদের বেতন পূর্বের চেয়ে দৈনিক প্রত্যেককে ৫০ টাকা হাজিরা বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পূনরায় মিলে কাজ করার অনুরোধ করে।
পরে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমরা শ্রমিকরা মিলে ফিরে এসে জব্বার জুট মিল শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সর্দারগণ মিলের কার্যক্রম চালু করি। পরবর্তীতে গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল থেকে ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত মিলটি চালিয়ে কর্তৃপক্ষ হঠাৎ মিলটি আবারো বন্ধ করে দেয়।এতে বেকার হয়ে পড়ে মিলের সহশ্রাধিক শ্রমিকবৃন্ধ।
শ্রমিক আইন অনুযায়ী (কোম্পানী ইচ্ছাকৃত বন্ধ করিলে) চলতি বছরের দুটি ঈদ বোনাসসহ ৩ মাস ১৩ দিনের মূল বেতন এবং ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বকেয়া, ১০ দিনের ছুটির টাকা পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া জানুয়ারি মাসের সাপ্তাহিক মুজুরী পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের দাবী দাওয়া না মিটিয়ে জানুয়ারির শুরুতেই হঠাৎ মিলটি বন্ধ করে পালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে আমরা মোবাইল ফোনে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার ফলে আমাদের চাকরি কিংবা বকেয়া টাকার প্রদানের কোন ব্যবস্থা করছেনা। ফলে জব্বার জুটমিলের শ্রমিকেদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
মিল শ্রমিক সর্দার মফিজ, জলিল ও জামাল মিয়া বলেন, মিল কর্তৃপক্ষরা বলছে, মিলে নাকি লোকসান হচ্ছে। কিন্তু আমরা জানি কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে মালিক লোকসানে পড়ছে। অতিবিলম্বে তাদেরকে সরিয়ে মিলটি পুনরায় চালু করিলে মালিকপক্ষ যেমন লাভবান হবেন তেমনি শ্রমিদেরও কর্মসংস্থান হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে জব্বার জুট মিলের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মাহমুদুন্ননবী বলেন, মিলে পাটের গাড়ি নিয়ে আসার যে মুল সড়কটি রয়েছে সেটি বর্তমানে সংস্কারের কাজ চলছে। এই কারণে বর্তমানে মিলে পাট নিয়ে আসা যাচ্ছেনা বলে মিলটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাস্তাটির সংস্কার শেষ হলে দ্রুত সময়েরে মধ্যেই মিলের সকল কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হবে। এছাড়াও মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে কিছু সংখ্যক কর্মকর্তাকে অপসারণ করে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হবে।
Leave a Reply