কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চেতনানাশক দ্রব্য (শয়তানের নিঃশ্বাস) প্রয়োগ করে সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ।(২০ ডিসেম্বর) শুক্রবার রাতে ভৈরব বাজারের স্বর্ণপট্টি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে শনিবার দুপুরে তাদেরকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকার ছনপাড়া গ্রামের রশিদ বেপারির ছেলে সবুজ মিয়া (৪২) ও একই এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে মো. রানা (২০)। এর আগে গত ২২ নভেম্বর ভুক্তভোগী নারী জাহানারা বেগম ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করলে এই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, গত ২২ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভৈরব বাজার স্বর্ণপট্টি থেকে জাহানারার বেগম তার বন্ধক রাখা ৩.৫ ভরি ওজনের স্বর্ণ নিয়া বাসায় আসার পথে আসামীরা তাকে অনুসরণ করে। তিনি যখন ভৈরব বাজার পৌর মিলনায়তনের সামনে আসে তখন ছিনতাই চক্রের সদস্যরা জাহানারা বেগমের ঘা ঘেসে সুঘ্রাণ যুক্ত কিছু ছড়িয়ে দিলে তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলে।
পরবর্তীতে জাহানারা বেগম রিক্সায় না উঠিয়া ঐ চক্রের সদস্যের দেখানো মতো জায়গায় তাদের সঙ্গে চলে যায়। পরে ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া ব্রাক ব্যাংক সংলগ্ন বালুর মাঠের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওনার সাথে থাকা বন্ধক ছুটানো ৩.৫ ভরি স্বর্ণালংকাসহ নগদ ২১০ টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওনার চেতনা ফিরলে সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা কিছু সাথে খুঁজে পাইনি। তখন তিনি আশেপাশে খোজাখুঁজি করলেও কোন সন্ধান পাননি।
তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছে। পরে তিনি এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশকে অবহিত ও মামলা করেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র চেতনানাশক দ্রব্য বা শয়তানের নিঃশ্বাস নামে যা অনেকের কাছে পরিচিত তা ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যাই। আমরা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করি। তাদের ধরতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি।
শুক্রবার রাতে আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি ঐ চক্রের সদস্যরা স্বর্ণপট্টি এলাকায় অবস্থান করছে। পরে তাদের দুইজনকে স্বর্ণপট্টি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply