ভৈরবে ওসিকে ঘুষ দেওয়া নেওয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন
নাজির আহমেদ আল-আমিন,ভৈরব
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে ওসিকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া ও পরে আবার ফেরত নেওয়ার বিষয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন করেছে শ্রীনগর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন ও ভৈরব উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল।
(১৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় ভৈরব প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন করে ভৈরব থানার ওসি শাহিনকে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জাকির হোসেন বলেন, আসামী সুজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভৈরব থানার ওসি শাহিনকে ঘুষ দেওয়ার বিষয় নিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল আমার নাম ব্যবহার করে তার ফেইসবুক আইডি থেকে একটি লেখা পোষ্ট করলে তা আমার নজরে আসে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসামী ছেড়ে দেওয়া নিয়ে ওসিকে টাকা দেওয়া ও পরে তা আবার ফেরত নেওয়া এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
অপর দিকে দুপুর আড়াইটার সময় ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গণ অধিকার পরিষদ কার্যালয়ে পাল্টা সংবাদ সন্মেলন করে ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল বলেন, আসামী সুজনকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাকির হোসেন ওসি শাহিনকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছে। আমার কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে তা আমি তুলে ধরবো।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় রুবেল মিয়া বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলার এজাহারভুক্ত ৮০ নাম্বার আসামী সুজন মিয়া। তিনি পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার মস্তু মিয়ার ছেলে।
গত ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় আসামী সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর জাকির হোসেনসহ আসামীর স্বজনরা থানায় সুজনকে দেখতে যায়। ঐদিন রাতেই আসামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওসিকে জাকির হোসেনের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। পরে ৬ দিন পর ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে ওসি শাহিন এই টাকা আবার আসামীর পরিবারকে ফেরত দেয় এমন একটি পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমতিয়াজ আহমেদ কাজলের ফেইসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নেটিজেন ও ভৈরববাসীর মধ্যে সাড়া ফেলে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসামি চালান দিয়েছি, টাকা নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। আমার নামে কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে সে দায়িত্ব আমার না।
Leave a Reply