“ভারতে সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুর! ভৈরবে প্রতিবাদ ও সম্প্রতি সমাবেশ”
নাজির আহমেদ আল-আমিন
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ভৈরবে প্রতিবাদ ও সম্প্রতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(৫ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ভৈরব দুর্জয় মোড়ের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ভৈরব এর আয়োজনে এ প্রতিবাদ ও সম্প্রতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভৈরবের সমন্বয়ক সিহাব উদ্দিন তুহিন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাজী মো.শাহিন, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সহ-সভাপতি জাহিদুল হক জাবেদ, ভৈরব আলেম উলামা পরিষদ সভাপতি মো. আল আমিন, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি চন্দন কুমার পাল, উপজেলা জামায়ত ইসলামী ভৈরব শাখার সূরা কমিটির সদস্য মাওলানা কাজী আব্দুর রউফ, ইসলামী আন্দোলন ভৈরব শাখার সভাপতি মুছা খান, খেলাফত মজলিস ভৈরব শাখার সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম সাহেল, গণ অধিকার পরিষদের ভৈরব শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভৈরবের সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম জয় প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ইমাম উলামা পরিষদ, বিভিন্ন স্কুল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা সহ্য করতে পারে না। এরই ধারাবাহিকতায় আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলোন, বাংলাদেশ এখন আর শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নেই। এটা ১৮ কোটি জনগণের বাংলাদেশ। এখানে সরকারকে ক্ষমতায় ভারত বসায়নি ২৪-এর গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর দেশের জনগণ এ সরকার বসিয়েছে। আওয়ামী লীগ ভারতের গুলামি করতো। ভারত সব সময় তাদের আধিপত্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই নতুন বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য বিস্তার হতে দেয়া হবেনা। ২৪-এর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে সেটা কবর দিয়েছে দেশের সকল জনগণ। এছাড়া সহকারী হাইকমিশনে হামলাকারীরা শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এ সময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদি? আজাদি, আজাদি’, ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আপোস না সংগ্রাম? সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘হাইকমিশনে হামলা কেন? দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতা, গড়ে তোলো একতা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। আলোচনা শেষে সমাবেশ মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
Leave a Reply