“ভৈরবে শতাধিক গাছ কেটে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে বসত বাড়ি দখলের অভিযোগ”
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শতাধিক গাছ কেটে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী ওই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা বজরুর রহমানের ছেলে খলিলুর রহমান খলিল। অভিযোগটি উঠে একই এলাকার বাসিন্দা মোর্শেদ আলম ও মোস্ত মিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে। গেল ১৭ নভেম্বর রবিাবর দুপুরে পৌর শহরের জগন্নাথপুর এলাকার সোবেদ আলী ব্যপারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জগন্নাথপুর এলাকার একই বাড়ির বাসিন্দা খলিলুর রহমান ও মোর্শেদ আলমগংরা। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে ফলজ ও ঔষুধি প্রায় শতাধিক গাছ কাটা পড়ে আছে। সেই সাথে একটি শতবর্ষী পুরনো বাড়ি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একপক্ষের অভিযোগ জোর জবস্থ করে জমি দখল করে নিতে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে মোর্শেদ মিয়া গংরা। অপর দিকে প্রতিপক্ষ বলছে খলিল মিয়া তার বাবার বিক্রিত জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বলে দখল নেয়ার চেষ্টা এই কান্ড ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান খলিল জানান, ৪২ বছর আগে আমার বাপ দাদা জমি বিক্রি করে মুর্শেদ মিয়া ও মোস্ত মিয়ার পরিবারকে জমি বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। তারা আমাদের দেয়া রাস্তার উপর দিয়ে চলা ফেরা করছে। বিভিন্ন সময় তারা চাঁদা দাবী করে। না দেয়ায় আমার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। কয়েক শতাধিক গাছ কেটে নিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি মোর্শেদ মিয়া ও মোস্তু মিয়া বলেন, কয়েকবার শালিসী দরবার হলেও খলিল মিয়া দরবারিদের রায় মানে না। রবিাবারও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিস দরবার হওয়ার কথা থাকলে তিনি আসেনি। পরে আমরা জমি বুঝে নিতে কয়েকটা গাছ কেটেছি।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, দু’পক্ষকে নিয়েই
সালিশি দরবার করা হয়েছিলো। সালিশে দু’পক্ষেরই কাগজপত্র দেখে দরবারিরা রায় দেয় একপক্ষকে গাছপালা কেটে জায়গা দখল নিতে। কিন্তু আরেকপক্ষের কাছে দরবারটি সঠিক মনে হয়নি বলে তারা দরবারটি মানেনি। পরে দরবারিদের কথামত জায়গা দখলের জন্য একটিপক্ষ গাছ কেটে ফেলে।
এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। আমরা এলাকাবাসী হিসেবে চাই এই বিষয়টি যেন সুষ্ঠু সমাধান হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিন মিয়া জানান, জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনি। উভয় পক্ষে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
Leave a Reply