কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে কেপিআই এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনের ফলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চলে গেছে। বসত-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় অনেকেইে গৃহ ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ব্যাপক ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পারে বসবাসরত বাসিন্দাদের। এখনি ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ ভাঙ্গনে ভৈরব বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে এ এলাকার জনগণ।

নদীতে বিলীন যমুনা অয়েল ডিপোর একাংশ। ছবি দৃশ্যপট নিউজ
বর্ষা মৌসুম শেষ না হতেই ভৈরবে মেঘনা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত রাত ২ টা থেকে হঠাৎ কেপিআই এলাকায় মেঘনা নদীর যমুনা ও মেঘনা ডিপোঘাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ১৫ থেকে ২০টি ঘর-বাড়ি, দোকানপাটসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানী তেল সরবরাহ যমুনা. মেঘনা ডিপোঘাট, সার গুডাউন, ২টি রেল সেতু ও ১ টি সড়ক সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। এসব স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেলে দেশের ২৭টি জেলায় জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা সিলেট ও চট্রগ্রামের সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া হাজার হাজার লোক কর্ম সংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে যেতে পারে। স্থানীয়রা আরো জানান, গত ২ বছর আগেও ডিপোঘাটের ২শ মিটার সামনে মেঘনার ভাঙ্গনে চাতাল মিল এলাকায় ভাঙ্গনে বেশ কিছু বসত ঘর ও মিলের মাঠ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে ২ জন নিহত হয়। তবে ড্রেজারে বালি উত্তোলনের ফলে এ ভাঙ্গন দেখা দেয় বলে স্থানীয়রা জানান। তাই মেঘনা নদী থেকে বালি উত্তোলন বন্ধ করলে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব বলে মনে করেন ভোক্তভোগীরা। তাই দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ভোক্তভোগী ও এলাকাবাসিদের ।

নদীতে বিলীন বাজার থেকে ডিপোঘাট এলাকার রাস্তা। ছবি দৃশ্যপট নিউজ
এ বিষয়ে ভৈরব বাজার ফায়ার ষ্টেশন অফিসার জানান নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি নদী ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এসে জনগণকে সর্তক করছি এবং কিভাবে নদী ভাঙন রোধ করা যায় আমরা প্রস্তত আছি ।
এ বিষয়ে যুমনা অয়েল কোম্পানীর ডিপো ইনচার্জ মতিউর রহমান বলেন,উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে রাতে নদী ভাঙ্গনে বেশ কিছু ঘর-বাড়ি-দোকানপাট ভেঙ্গে গেছে। নদী ভাঙ্গন রোধ না করলে সারের গোডাউনসহ যমুনা ও মেঘনা ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভেঙ্গে যাবে।

বিলীন রাস্তা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদুয়ান আহমেদ রাফি এবিষয়ে বলেন, আমরা ভোর বেলা খবর পেয়ে ভাঙ্গন এলাকায় এসেছি । এখানে গুরুতবপূণ সারের গোডাউন,জ্বালানী তেলের ডিপোঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও সাথে যোগাযোগ করেছি কিভাবে ভাঙ্গন রোধ করা যায়। তাছাড়া সমস্ত বিষটি দেখভাল করছেন জেলা প্রশাসক।
Leave a Reply