1. admin@drisshopat-news.com : admin :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইউনিসেফের তথ্যে এখনো বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান  বিধবা চাচীর সঙ্গে ভাতিজার বিয়ে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য, বাড়ি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন” সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিষিদ্ধের দাবিতে ভৈরবে প্রতিবাদ সমাবেশ  ভৈরবে শয়তানের নিঃশ্বাস প্রয়োগ করে স্বর্ণালংকার ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতার ভৈরবে ওসিকে ঘুষ দেওয়া নেওয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন ভৈরব মুক্ত দিবস উপলক্ষে বৈষ্ণম‍্য বিরোধী  আন্দোলনে আহতদের সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ প্রদান ১৯ ডিসেম্বর আজ ভৈরব মুক্ত দিবস ভৈরবে তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ভৈরবে কাভার্ড- ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে তিন মহিলাসহ ৫ জন নিহত মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক মোঃ নাঈমুজ্জামান নাঈম
শিরোনাম
ইউনিসেফের তথ্যে এখনো বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান  বিধবা চাচীর সঙ্গে ভাতিজার বিয়ে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য, বাড়ি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন” সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিষিদ্ধের দাবিতে ভৈরবে প্রতিবাদ সমাবেশ  ভৈরবে শয়তানের নিঃশ্বাস প্রয়োগ করে স্বর্ণালংকার ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতার ভৈরবে ওসিকে ঘুষ দেওয়া নেওয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন ভৈরব মুক্ত দিবস উপলক্ষে বৈষ্ণম‍্য বিরোধী  আন্দোলনে আহতদের সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ প্রদান ১৯ ডিসেম্বর আজ ভৈরব মুক্ত দিবস ভৈরবে তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ভৈরবে কাভার্ড- ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে তিন মহিলাসহ ৫ জন নিহত মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক মোঃ নাঈমুজ্জামান নাঈম

ইউনিসেফের তথ্যে এখনো বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু

  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪
  • ১০৯ Time View
ফাইল ফটো

 

দৃশ্যপট ডেক্স

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যায় ২০ লাখেরও বেশি শিশু এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দেশের পূর্বাঞ্চলে বিগত ৩৪ বছরের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই বন্যায় ৫৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নজিরবিহীন প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলো উপচে পড়ছে। যার ফলে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মাথাগোঁজার একটু আশ্রয় খুঁজছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তা, মাঠ-ঘাট আর ক্ষেত। লাখ লাখ শিশু ও তাদের পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন। তাদের কাছে নেই কোনো খাবার কিংবা জরুরি কোনো ত্রাণসামগ্রী। সরকারি লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার-অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কিছু কিছু এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে আগামী দিনে আরো বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ ও শিশুর জন্য ইউনিসেফ জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের জন্য ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ এমা ব্রিগহা বলেন, অনেক শিশু তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে, হারিয়েছে তাদের ঘরবাড়ি ও বিদ্যালয়, তারা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। শুরু থেকেই ইউনিসেফ সক্রিয়ভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও মুখে খাওয়ার স্যালাইনসহ জরুরি সেবাসামগ্রী সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু সব শিশুর কাছে পৌঁছাতে এবং শিশুদের ভবিষ্যতের ওপর চলমান এই সংকটের বিধ্বংসী প্রভাব রোধ করতে আরো তহবিলের প্রয়োজন।

দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউনিসেফ দুর্গত এলাকায় কাজ শুরু করে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফের সঙ্গে মিলে ইউনিসেফ প্রাথমিক যাচাই পর্ব চালায়। অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিসেফ এ পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজার শিশুসহ তিন লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। এ সব মানুষের মধ্যে তারা জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন উপকরণ যেমন: ৩৬ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, পানি ধরে রাখার জন্য ২৫ হাজার জেরি-ক্যান এবং দুই লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (মুখে খাবার স্যালাইন) এর ব্যাগ বিতরণ করেছে। কিন্তু এসবের বাইরেও আরো অনেক কিছু করা প্রয়োজন।

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং শিশুদের জন্য জরুরিভাবে নগদ সহায়তা, নিরাপদ পানীয় জল, স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ (হাইজিন কিট), জরুরি ল্যাট্রিন তৈরি, স্যানিটারি প্যাড, ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট (মুখে খাবার স্যালাইন) এবং জরুরি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের প্রয়োজন। অসুস্থ নবজাতক ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং গর্ভবতী মায়েরা যেন নিরাপদে তাদের সন্তান জন্ম দিতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় সেবা কার্যক্রম অবিলম্বে চালু করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা, দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা এবং মে মাসের ঘূর্ণিঝড় রেমালের মতো দুর্যোগগুলো খুব কাছাকাছি সময়ে হয়েছে। তিনটি জরুরি পরিস্থিতির কারণে সব মিলিয়ে ৫০ লাখ শিশুসহ সমগ্র বাংলাদেশে এক কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই তিনটি জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য তাৎক্ষণিক সাড়াপ্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে, ক্ষতিগ্রস্ত শিশু, গর্ভবতী নারীদের জন্য জরুরি, জীবন রক্ষাকারী এবং মাল্টি-সেক্টরাল কার্যক্রম পরিচালনায় ইউনিসেফের ৩৫.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।

জলবায়ু পরিবর্তন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাপ্রবাহের সংখ্যা, তীব্রতা এবং অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি করেছে যা বাংলাদেশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ কারণে জলবায়ু সংকটকে মৌলিকভাবে একটি শিশু অধিকার সংকট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউনিসেফের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি ইনডেক্স (চিলড্রেনস ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স) অনুযায়ী, বাংলাদেশের শিশুরা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ও পরিবেশগত ঝুঁকির শিকার।

এমা ব্রিগহা বলেন, বছরের পর বছর বন্যা, তাপপ্রবাহ ও ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশুর জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিশ্চিতভাবেই শিশুদের জীবন পরিবর্তন করছে। বেশি দেরি হওয়ার আগেই, শিশুদের জন্য বৈশ্বিক নেতৃবৃন্দকে জরুরিভাবে কাজ করার এবং তাদের জীবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে আমরা আহ্বান জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category


Development: BTMAXHOST